
নৈতিকতার সংকট দূর করতে না পারলে দেশ গভীর অন্ধকারে চলে যাবে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, শিশুকালের শিক্ষাটাই ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে গেঁথে যায়। শিক্ষকদের সবচেয়ে বড় মূল্যায়ন করতে পারেন তার ছাত্র-ছাত্রীরা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শিক্ষকতাকে আজ পবিত্র দায়িত্ব মনে করেন না।
কারণ বর্তমানে নৈতিকতার বড় অভাব। নৈতিকতার এই সংকট দুর করতে সকলকে সচেষ্ট হতে হবে। আজ শনিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ল’অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স (বিলিয়া) অডিটরিয়ামে শিক্ষক প্রশিক্ষণের মধ্যবর্তীকালীন মূল্যায়ন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। এথিক্স এডুকেশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট (ইটুএসডি)-এর উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুারের উপপ্রশিক্ষণ সমন্বয়কারী সাইফুজ্জামান রানা, বিশিষ্ট সাংবাদিক চিন্ময় মুৎসুদ্দী, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ড. এম. এহ্ছানুর রহমান, হিমালয় বিজেতা এম. এ মুহিত, ইটুএসডি-এর সিইও কাজী আলী রেজা প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ বলেন, শতকরা ৯৯ ভাগ মানুষের কোনো না কোনো অসুস্থতা আছে। আমাদেরকে পরিবেশ ও পেশাগত স্বাস্থ্যের উন্নয়ন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, নৈতিক মূল্যবোধ ও নীতিমালার আলোকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করাকে জনস্বাস্থ্যের নৈতিকতা হিসেবে গণ্য করা হয়। জনস্বাস্থ্যের মূল নৈতিকতা হলো জনকল্যাণ করা বিশেষ করে অনিষ্ট না করা, ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সম্মান করা, ন্যায্যতা, গোপনীয়তা রক্ষা করা, স্বচ্ছতা এবং দায়বদ্ধতা।